কন্যা ছুয়না ওই বৃষ্টির জল,
এতে আছে কষ্ট সকল।
--------- শাহরিয়ার রাব্বী
-------১:২০ বুধ,আগষ্ট ২০
মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৪
অচল প্রেমের পদ্য -০৩
রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৪
বেদনা কথন
ভাবতেও পারিনি
মুখের উপর শপাৎ করে দরজাটা আজ আটকে দিবে।
হঠাৎ করে ছোট্ট ভুলে এত্ত বড় কষ্ট দিবে।
রাতের ঘুমটা এক নিমিষে হঠাৎ করে কেড়ে নিবে।
ভালোবাসি বুঝার পরও,শুধু আমায় ধোকা দিবে
কিন্তু
সকাল হলে সবি ভুলে নিয়ম করে দরজা খুলবে
সেই দরজায় শক্ত করে কাচা লোহার গ্রিল দিবে
মনটা আমার নিয়ম করে জানলা দিয়ে উকি দিবে
ঘরের ভিতর নগ্ন তুমি নতুন সাজে মন রাঙাবে
হঠাৎ আমার ছায়া দেখে ঘরের ভিতর মুখ লুকাবে।
এই চাঁদমুখ দেখার লাগি আবার হাজার কষ্ট দিবে।
__________ শাহরিয়ার রাব্বী
________২:১৫ সোম,আগষ্ট ১৮
সোমবার, ৭ জুলাই, ২০১৪
রাজকুমারী
অচেনা এক পরী
দেখতে ও সে ভারি!
অচিনপুর থেকে
স্বপ্ন আমার দেয় এঁকে!
কখনো দেখিনা তারে
সে থাকে শুধু স্বপ্নের অগোচরে,
জানি না তো সে কে
কোথায় তার বাড়ি
শুধুই জানি স্বপ্নে পাবো তাকে
সে যে মোর স্বপ্নের রাজকুমারী।
-------------- শাহরিয়ার রাব্বী
--------------৮জুলাই ১৪(রাত2:৩০)
শনিবার, ২৪ মে, ২০১৪
শিক্ষা মন্ত্রীর কাছে অনুরোধ : জাফর ইকবাল
এই নিয়ে পর পর তিনবার আমি একই বিষয় নিয়ে লিখছি, বিষয়টি হচ্ছে পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস। প্রথমবার আমি ফাঁস হওয়া প্রশ্ন আর এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন পাশাপাশি বসিয়ে পত্র-পত্রিকায় পাঠিয়েছি। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার এরকম অকাট্য একটা প্রমাণ পাবার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে কিছু একটা করতে হবে বলে আমার ধারণা ছিল। আমার ধারণাটা ভুল ছিল। শিক্ষা মন্ত্রণালয় কিছু করেনি। আমি দ্বিতীয়বার তাই আরেকটু বড় করে লিখেছি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সরাসরি কয়েকটা প্রশ্নও করেছি, তারা আমাকেই তার উত্তর দিবে আমি সেটা কখনো ভাবিনি কিন্তু প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে সেটা অন্তত মেনে নিবে এরকম আশা ছিল। আমার আশা পূরণ হয়নি, হয়তো লেখাটা তাদের চোখে পড়েনি। এবারে তাই লেখার শিরোনামে 'শিক্ষামন্ত্রী' কথাটা ঢুকিয়ে দিয়েছি, নিশ্চয়ই কারো চোখে পড়বে। আমার অবশ্য আরো একটা উদ্দেশ্য আছে এই দেশের যে অসংখ্য ছেলে মেয়ে এই মুহূর্তে এইচএসসি পরীক্ষা নামে প্রহসনের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে আমি তাদেরকে জানাতে চাই, সেই প্রহসনের জন্য আমাদের কারো বুকের মাঝে আত্মতৃপ্তি নেই, তারা যেরকম হতাশা, ক্ষোভ আর যন্ত্রণায় ছটফট করছে আমরাও ঠিক একইভাবে হতাশা ক্ষোভ আর যন্ত্রণায় ছটফট করছি।
প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া নিয়ে আমি প্রথম যে লেখাটা লিখেছিলাম তখন আমার হাতে পদার্থ বিজ্ঞানের প্রশ্নগুলো ছিল। এখন রসায়নের প্রশ্ন আছে। এগুলোও আমি পত্র-পত্রিকায় দিতে পারতাম কিন্তু কোনো লাভ হবে না বলে নোংরা ঘাটাঘাটি করতে ইচ্ছে করছে না। সবচেয়ে বড় কথা ফেসবুক থেকে যখন যার প্রয়োজন এগুলো নামিয়ে নিতে পারবে আমার দেয়া না দেয়াতে কিছু আসে যায় না।
একটা ব্যাপার আমার কাছে এখনো রহস্যের মত মনে হচ্ছে। পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটি খুবই ভয়ানক একটা ব্যাপার, আমি ভেবেছিলাম এটা নিয়ে বুঝি সারা দেশে তুলকালাম ঘটে যাবে কিন্তু অবাক হয়ে দেখলাম কিছুই ঘটেনি। পত্র-পত্রিকার বা মিডিয়ার যে সব মানুষজনকে আমি চিনি তাদেরকে ফোন করে আমি ব্যাপারটা জানতে চাইলাম তারাও ব্যাপারটা আমাকে বোঝাতে পারলেন না। আচ্ছা আচ্ছা ভাবে মনে হল সবাই ধরেই নিয়েছে এরকমই ঘটতে থাকবে এবং যেহেতু চেঁচামেচি করে কিছুই হবে না, তাহলে খামোকা চেঁচামেচি করে কী হবে? কি সর্বনাশা কথা! আমিও ব্যাপারটা খানিকটা অনুমান করতে পারি, যে দেশে সরকারের র্যাব বাহিনী সরকারের পুরো প্রশাসনকে ব্যবহার করে এক দুইজন নয় সাত সাতজন নিরপরাধ মানুষকে প্রকাশ্য দিনের বেলায় সবার সামনে ধরে নিয়ে খুন করে নদীর তলায় ডুবিয়ে রাখতে হাত লাগায় সেই দেশে কী এখন 'তুচ্ছ' পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে বিচলিত হবার সময় আছে?
তারপরেও আমার মনে হয় আমাদের বিচলিত হতে হবে। তার কারণ একজন তরুণ কিংবা-তরুণী যদি তার স্বপ্ন দেখার বয়সটিতেই আশাহত হয়, হতাশাগ্রস্ত হয়, অপমানিত হয়, ক্ষুব্ধ হয় কোনো কারণ ছাড়াই তীব্র অপরাধবোধে ভুগতে থাকে তাহলে সে কেমন করে বেঁচে থাকবে? এইচএসসি-এর প্রশ্নপত্র ফাঁস হতে শুরু করার পর অসংখ্য ছেলে মেয়ে আমার সাথে যোগাযোগ করেছে তাদের ক্ষোভ-অভিযোগ-হতাশা আমাকে জানিয়েছে। আমি এর আগে সবসময়েই সবাইকে আশার কথা শুনিয়ে এসেছি, এই প্রথমবার আমি পরিষ্কার করে কিছু বলতে পারছি না। আমার কাছে সবচেয়ে কঠিন ই-মেইল পাঠিয়েছে একজন ছাত্রী। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার পরও সে নিজের সততার কাছে মাথা উঁচু করে থেকেছেন। ফাঁস হওয়া প্রশ্ন সে দেখেনি, নিজের মত করে পড়াশোনা করে পরীক্ষা দিয়েছে। পরীক্ষা দেওয়ার পর জানতে পেরেছে তার চারপাশের সবাই ফাঁস হয়ে যাওয়া প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়ে এসেছে, সবার পরীক্ষা 'ভালো' হয়েছে—শুধু তার পরীক্ষা ভালো হয়নি, প্রশ্নপত্র কঠিন ছিল ভালো হওয়ার কোনো সুযোগ ছিল না। মেয়েটি আমার কাছে জানতে চেয়েছে, প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে জানার পরও যেহেতু পরীক্ষা বাতিল হয়নি, বাতিল হবে সেরকম কোনো আলোচনাও নেই, তার অর্থ সবাই পার হয়ে যাবে শুধু সে পার হবে না। সততার জন্য সে খুব বড় একটা মূল্য দেবে, ভর্তি পরীক্ষায় সুযোগ পাবে না, জীবনের স্বপ্নটি শুরু হবার আগেই ধূলিসাত্ হয়ে যাবে। আমি তাকে কী বলে সান্ত্বনা দেব? তাকে বলব, বাংলাদেশে এটাই নিয়ম? এই দেশে আমরা সত্ মানুষের জীবনটা ইচ্ছে করে ছারখার করে দেই? আমি একে বলব যে, তোমার অসত্ হওয়া উচিত ছিল, তুমি নির্বোধের মত সত্ থেকেছ এখন তার জন্য মূল্য দাও? কেউ একজন আমাকে কী বলবে, আমরা কী আনুষ্ঠানিকভাবে একটা জাতিকে অসত্ বানিয়ে দেয়ার প্রজেক্ট হাতে নিয়েছি? আমরা কী অন্যায়কে অন্যায়ও বলতে পারব না?
সম্ভবত অন্য সবার মত আমারও হাল ছেড়ে দেয়া উচিত ছিল। বলা উচিত ছিল যেহেতু শিক্ষা মন্ত্রণালয় কখনোই স্বীকার করেনি যে, প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে, উল্টো সবাইকে উপদেশ দেয়া হয়েছে গুজবে কান না দিতে। যারা গুজব ছড়াচ্ছে তাদেরকে শাস্তি দেয়ার হুমকি দেয়া হচ্ছে। সেই হিসেবে আমি হয়তো রাষ্ট্রের চোখে শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট করার দোষে দোষী একজন মানুষ। আমার হয়তো লম্বা লম্বা কয়েকটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ডিজিটাল বাংলাদেশ জাতীয় বড় বড় কোনো বিষয় নিয়ে মাথা ঘামানো উচিত ছিল। কিন্তু যতবার আমি এই দেশের ছেলে-মেয়েদের কথা ভাবি, যারা অন্যায়কে প্রশ্রয় না দিয়ে সত্যিকার ছাত্র বা ছাত্রীর মত লেখাপড়া করে নিজের ভবিষ্যেক ধ্বংস করেছে ততবার আমার মনে হয় কিছুতেই এই বিষয়টাকে ভুলে যেতে দেয়া যাবে না। আমাকে চেষ্টা করতে হবে, যেন কর্তৃপক্ষ আগে হোক পরে হোক এই বিষয়টার দিকে নজর দেয়। এটি মোটেও এমন একটি বিষয় নয় যে, অল্প কিছু দুর্নীতিবাজ মানুষ তাদের অল্প কয়জন দুর্নীতিবাজ ছেলে-মেয়েদেরকে একটা সুযোগ করে দিয়েছে লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থীর তুলনায় তাদের সংখ্যা এতো কম যে, এই বিষয়টা উপেক্ষা করলেও সত্যিকার অর্থে দেশের এমন কিছু ক্ষতি হবে না। এটি মোটেও তা নয়, আজকাল বাংলাদেশের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের ফেসবুক একাউন্ট আছে তারা এই ফেসবুক একাউন্ট ব্যবহার করে চোখের পলকে ফাঁস হয়ে যাওয়া প্রশ্নপত্র নামিয়ে আনছে। নামিয়ে আনার পর একে অন্যকে পৌঁছে দিয়েছে। যাদের কম্পিউটার ইন্টারনেট নেই তাদের ফ্যাক্স ফটোকপি আছে কাজেই লক্ষ লক্ষ ছেলে-মেয়ের হাতে এগুলো পৌঁছে গেছে।
এটি উপেক্ষা করা যায় সেরকম একটি সমস্যা নয়, এটি এই দেশের লক্ষ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রীর জীবনে সর্বনাশ ডেকে আনছে সেরকম একটি সমস্যা।
আমি এই লেখাটি লিখছি মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য। আমাদের দেশে যে কয়জন মন্ত্রী সাধারণ মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন তিনি তাদের একজন। জনপ্রিয় মন্ত্রীদের নিয়ে যখনই জরিপ করা হয় তিনি তখন সবার উপরে থাকেন। তার কারণও আছে, স্কুল-কলেজের লেখাপড়া নিয়ে তার আগ্রহ আছে। বছরের প্রথমদিন তার কারণে বাংলাদেশের সব ছেলে-মেয়ে হাতে নতুন বই পেয়ে যায়। শুধু বইয়ের সংখ্যা দেখলে পৃথিবীর যে কোনো মানুষের মাথা ঘুরে যাবে। বইগুলো একটার পর আরেকটা রাখা হলে সারা পৃথিবী দুইবার ঘুরে আসবে—বাচ্চাদের অনুপ্রাণিত করার জন্য আমি সুযোগ পেলেই তাদের এই কথাটা বলে অবাক করে দিয়েছি। আমি মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর সাথে প্রত্যন্ত অঞ্চলে কলেজ উদ্বোধন করতে গিয়েছি। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে আমি তার পাশে বসে ছাত্র-ছাত্রীদের ডিগ্রী পেতে দেখেছি। ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে সাথে আমিও তার কথা শুনে দেশের ভবিষ্যত্ নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শিখেছি। কাজেই প্রশ্ন ফাঁসের ব্যাপারটা তার নজরে আনা হলে তিনি কিছু একটা করবেন না, আমি সেটা বিশ্বাস করি না। তাই আমি অনেক আশা করে এই লেখাটি লিখছি। আমি আশা করছি, তিনি কষ্ট করে হলেও এই লেখাটুকু পড়বেন।
আমি তার কাছে বেশি কিছু চাই না, ছোট একটা বিষয় চাই। তিনি শুধু একটা সত্যি কথা বলবেন, জাতিকে জানাবেন এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় একটা বিপর্যয় ঘটে গেছে, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গেছে। আমি চাই এই দেশের ছেলে-মেয়েরা অন্যায়কে অন্যায় হিসেবে জানতে শিখুন, অপরাধকে অপরাধ হিসেবে স্বীকার করে নিতে শিখুন। তার বেশি কিছু নয়। একটা দেশের পুরো প্রজন্মকে যদি আমরা অনৈতিক হিসেবে গড়ে তুলি তাহলে সেই দেশকে নিয়ে আমরা কী করব?
যদি মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাবার ঘটনাটি মেনে নেন তাহলে যারা প্রশ্ন ফাঁস করেছে তাদেরকে ধরার চেষ্টা করা যাবে। আমি এই দেশের একটা সত্যি কথা জানি, যদি কোনো অপরাধীকে ধরার ইচ্ছে থাকে তাহলে তাদের ধরা যায়। যেসব অপরাধীকে ধরা যায় না তাদেরকে আসলে ধরার চেষ্টা করা হয় না। আমরা আশা করব, এই ঘটনার তদন্ত হবে, অপরাধীদের ধরা হবে, তাদের শাস্তি হবে। ভবিষ্যতে যেন আর কখনো এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সেটি নিশ্চিত করা হবে। আমি জানি এটি করা সম্ভব।
এমনটি কী হতে পারে যে, এই লেখাটি মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর চোখে পড়ল না? কিংবা তার চাইতেও দুঃখজনক একটা ব্যাপার ঘটল, লেখাটি তার চোখে পড়ল, কিন্তু তার পরেও তিনি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনাটা স্বীকার করলেন না —তাহলে আমরা কী করব?
অন্যেরা কী করবে জানি না, কিন্তু আমি কী করব মনে মনে ঠিক করে রেখেছি। তাহলে আমি শহীদ মিনার কিংবা এরকম কোনো একটা জায়গায় খবরের কাগজ বিছিয়ে বসে থাকব। হাতে একটা প্ল্যাকার্ড রাখব সেখানে লিখব, "প্রশ্ন ফাঁস মানি না, মানব না। আমাদের ছেলে-মেয়েদের অসত্ হতে দেব না।"
তাতে কী কোনো লাভ হবে? সম্ভবত হবে না। যখন এই দেশের ছেলে-মেয়েরা ক্ষুব্ধ চোখে আমাকে বলবে, "স্যার, আমরা এ কেমন দেশে বাস করি? কেন এতো বড় অন্যায় আমাদের মেনে নিতে হবে?"
আমি তখন অন্তত তাদের চোখের দিকে তাকিয়ে বলব, "তোমরা আমাকে ক্ষমা করো — আমি কিন্তু চেষ্টা করেছিলাম।"
সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৪
নীল রঙের কাব্য-০২
নীলিমা যখন নীলের বিরহে
নীল জামার বুকটা
চোখের জলে আরও নীল করছিলো,
নীল তখন নীল আকাশের বুকে
নীলিমা নিয়ে দেখা স্বপ্নগুলো
মেঘ বানিয়ে উড়িয়ে দিচ্ছিলো।
∞∞∞∞∞∞∞∞শাহরিয়ার রাব্বী
∞∞∞∞∞এপ্রিল ২১-২০১৪{রাত১০:৪৫}
নীল রঙের কাব্য-০১
∞∞নীল রঙের কাব্য∞∞
নীলিমা যখন নীলের বিরহে
নীল জামার বুকটা
চোখের জলে আরও নীল করছিলো,
নীল তখন নীল আকাশের বুকে
নীলিমা নিয়ে দেখা স্বপ্নগুলো
মেঘ বানিয়ে উড়িয়ে দিচ্ছিলো।
∞∞∞∞∞∞∞∞শাহরিয়ার রাব্বী
∞∞∞∞∞এপ্রিল ২১-২০১৪{রাত১০:৪৫}
শনিবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৪
অজানা সম্পর্ক
তোমার আমার সম্পর্কটা
কি ছিল,কখনই ভাবিনি।
সবাই বলত ভালোবাসা
তুমি কখন স্বীকার করনি
আর আমিও প্রমাণ খুজিনি
ভালোবাসা না থাকলেও
সম্পর্কটা ভালোই ছিল।
খুব সুন্দর বুঝাপড়া ছিল।
সুখের কথায় হাসতাম
দুঃখ পেলে কাঁদতাম।
একসাথে ঘুরতে যেতাম,
রাস্তার ধারে ফুস্কা খেতাম।
সমস্যায় পড়লে সমাধান করতাম
দুজন দুজনার যত্ন নিতাম।
এটা কেন করলাম না,
আর ওটা কেন করলাম
সকাল সন্ধ্যা কৈফিয়ত নিতে
আমার কোন কিছু হলেই
কেঁদেকেটে নাক ফুলাতে
কোন ভুল করলে রাগ করতে
এটা সেটা নিয়ে ঝগড়া করতে
হঠাত খুশিতে আদর করতে
কিছু কিনলেই আমায় দেখাতে
রোজ সকালে ঘুম ভাঙ্গাতে
নাস্তা বানিয়ে নিয়ে আসতে
রোজ বিকালে গল্প করতে
রাত্রি হলেই ঘুম পারতে।
সেদিন একটা শার্ট কিনলাম
সাদার জমিনে বড় ছোট চেক
স্বভাবতই তোমার কাছে
নতুন শার্টে ছুটে গেলাম
কিন্তু তোমায় খুঁজে পেলামনা
অনেক খুঁজে জানতে পারলাম
তোমার বিয়ে ঠিক হচ্ছে
ওরা তোমায় দেখতে এসেছে
বুকটা কেমন জানি করে উঠল
গলাটা ভারি হয়ে আসলো অজানা আতঙ্কে
বুজতে পারছিনা এমন কেন লাগছে
তোমার বিয়ে ঠিক হচ্ছে বলে?
নাকি নতুন কিনা শার্টটা
দেখাতে পারলাম না বলে?
===========শাহরিয়ার রাব্বী
==========০৫/০৪/২০১৪ (রাত০২টা৪)
বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৪
স্বার্থপর
দেখতে দেখতে চোখে ঘুম না আসাটা
অভ্যাস হয়ে গেছে।
যার জন্য এ অসুখ, সে কিন্তু ঠিকই ঘুমাচ্ছে।
আমার স্বপ্নগুলো কেড়ে নিয়ে,
নিজে ঠিকই সুখের স্বপ্ন দেখছে।
যার চিন্তা করতে গিয়ে নিজের চিন্তা খুয়য়েছি
সে ঠিকই শুধু নিজেকে নিয়ে মগ্ন থেকেছে।
যাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে গিয়ে ইশ্বরে সময় দেইনি
সে তো কখনই আমায় সময় দেইনি।
মনে রেখ,ইশ্বর হয়ত আমাকে ক্ষমা করবেন।
কিন্তু তিনি তোমাকে কখনোও ক্ষমা করবেন না।
========== শাহরিয়ার রাব্বী
==========০৪এপ্রিল২০১৪(রাত-০৩:৩৫)
শনিবার, ২৯ মার্চ, ২০১৪
জানবেনা কিছুই
এক বিছানায় তুমি আর ও
মাঝখানে ছোট শিশু
দূরে শুয়ে বসে ভাবছি তোমায়
টের পাচ্ছোনা কন-কিছু।
তুমি সাজালে সুখের সংসার
আমার জীবনটা করে ছারখার
তুমি জানলেনা কোন-কিছু।
=============শাহরিয়ার রাব্বী
=============২৩/০৩/২০১৪(১১;২০ pm)
অচল প্রেমের পদ্য ০২
যদি পেতাম তোমায়
যদি ভালবাসতে আমায়
পৃথিবীর সব সুখ
এনে দিতাম তোমায়।
কথা দিলাম কথা রাখবো
তোমাকেই শুধু ভালবাসবো।
===========শাহরিয়ার রাব্বী
========১৮/০৩/২০১৪(রাত-০১;০৩)
তোমাকে পাচ্ছিনা
একটা কবিতা চুরি হয়েছে
পাচ্ছিনা আর খুজে
তোমায় নিয়ে অনেক কথাই
লিখেছিলাম কবিতাটাতে।
কবিতা হারালে কি হয়েছে
আবার লিখে নিবো
তোমাকে হারালে কি করে বল
তোমাকে ফিরিয়া পাবো।
কবিতার সাথে তোমাকে হারিয়েছি
ভালবাসা রয়ে গেছে
সেই ভালোবাসা কাগজে কলমে
কবিতা হয়ে ফুটে।
========শাহরিয়ার রাব্বী
==২৫/০৩/২০১৪(১২;৪০এম)===
শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০১৪
আজ আবার
আজ আবার দেখা হলো
অনেক কথায় বলা হলো
পাশাপাশি বসা হলো
পুরানো হিসাব সামনে এলো
দুঃখের কথা মনে হলো
চোখের কাজল লেপ্টে গেলো
আবেগগুলো স্পষ্ট হলো
ভালবাসা প্রকাশ পেলো
হাতে হাত রাখা হলো
সুখ-দুঃখ ভাগ হলো
নূতন জীবন শুরু হলো
জীবনটাকে সাজাই চলো।
=============শাহরিয়ার রাব্বী
==== ২৯/০৩/২০১৪(রাত-১২;১০) ====
বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০১৪
পথ দেখাও
মোড়ে মোড়ে এসে
ঠেকছে এ নাও।
কোথায় যাব পথটা দেখাও
তুমি বিধাতা অবিনশ্বর,
তুমি সৃষ্টিকর্তা প্রভু।
আমাকে তুমি
ভুল পথ দেখিওনা কবু।
=========== শাহরিয়ার রাব্বী
===========২২মার্চ ২০১৪(রাত ১২টা)
সোমবার, ২৪ মার্চ, ২০১৪
কোথায় তুমি
সুখ তরীতে স্বপ্ন নিয়ে
গেলাম স্রোতে ভেসে,
সেই তরীটা ভিড়ল শেষে
দুঃখের দ্বীপে এসে।
দ্বীপটাতে যে কাঁটা ভীষণ
কষ্টে বসে একা,
এদিক খুঁজি,সেদিক খুঁজি
পায়না তোমার দেখা।
কোথায় তুমি,কোথায় তুমি
দ্বীপে আমি একা,
তুমি এলেয় দূর করব
দ্বীপের যত কাঁটা।
==========কোথায় তুমি
==========শাহরিয়ার রাব্বী
==========১৮মার্চ২০১৪
==========০১:০৬(রাত)
শুক্রবার, ২১ মার্চ, ২০১৪
মন হবেনা ভালে
আমার এ মন
সে তো আর হবেনা ভালো,
হাজারো কষ্টে
জীবনটা যে বিষাদময় হয়ে গেলো।
তোমারি পরশে জীবনেতে
দুঃখগুলো আজ এলো
তুমি চলে গেলে
দুঃখগুলো আমারই রয়ে গেল।
তোমার স্মৃতিগুলো কাটা হয়ে আজ
মনে গিয়ে শুধু বিধে
দুঃখগুলো আগুন হয়ে
বারবার জ্বলে উঠে।
=============শাহরিয়ার রাব্বী
∞শুক্রবার,মার্চ ২১-২০১৪(রাত-০৮:১৫)∞
শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০১৪
পদ্য-০১
জীবনের সব ভুলগুলো আজ
শুধরে নিতে চাই।
তোমার সাথে নতুন করে
ঘর বাধঁতে চাই।
==========শাহরিয়ার রাব্বী
==========ফেব্রুয়ারি ২০১৪
ভালোবাসার অপেক্ষা
একাজে করতে কষ্ট শত
রাত পেরিয়ে দিন এলো
অপেক্ষার প্রহর শুরু হলো।
ভালোবাসি বলে তোমায়
করছি অপেক্ষা।
ভালো যদি বাসতে আমায়
করতেনা এমনটা।
==========শাহরিয়ার রাব্বী
==========মার্চ ২০১৪
এগিয়ে যাও
পাথর ভেঙে করছি পথ
নতুন আলোর নতুন শপথ।
তরুন জোয়ান হও আগুয়ান
দূর কর সব বাধার আধার
নতুন চিন্তা,নতুন আলো
সবার ঘরে শিক্ষার আলো।
দূর কর সব অনাচার
মনে বুনো সচেতনতার ধান।
এগিয়ে যাও আলোর পথে
দেশের কথা বুকে রেখে।
=============শাহরিয়ার রাব্বী
=============২৮:০২:২০১৪
=============১২:০২(মধ্যরাত)
আর হবেনা
আর কখনোই তোমার বাড়ির সামনে
আমায় দাঁড়িয়ে থাকতে হবেনা।
ক্লাসে বসে হাজারবার পিছন ফিরে
আর কখনোই তাকাতে হবেনা
হঠাৎ তোমার দেখা না পেয়ে
একে ওকে আর জিজ্ঞাস করা হবেনা।
চলার পথে,বাসে কিংবা রিক্সায়
তোমার পাশে আর বসা হবেনা।
সরু রাস্তায় পাশাপাশি আর হাঁটা হবেনা।
হেটে যেতে যেতে রাস্তায় দাড়িয়ে
ফুচকা কিংবা ঝালমুড়ি আর খাওয়া হবেনা।
কোন রেস্তোরায় তোমাকে খাইয়ে দিতে গিয়ে
ইচ্ছে করেই ঠোঁটটা আর ছুঁয়ে দেখা হবেনা।
ফেরিওয়ালা দেখলেই তোমার জন্য
এটা সেটা আর কেনা হবেনা।
রোজ আর নিয়ম করে তোমার সাথে কথা হবেনা।
ঘুম থেকে ডাকা হবেনা,ঘুম পাড়িয়ে দেয়া হবেনা।
কাউকে আর জিজ্ঞাস করা হবেনা
কেমন আছ,চা খেয়েছ,কী করছ?
কিছুক্ষণ পর পর ফোন দিয়ে বলা হবেনা
মিস করছি ভিষন।
ক্ষুদেবার্তায় আর লিখবনা,শুভ সকাল কিংবা রাত।
আর কখনোই বলবোনা ভালোবাসি তোমায়
কোনদিনই বলবোনা ভালোবাস আমায়।
================শাহরিয়ার রাব্বী
================মার্চ ১৪:২০১৪
================০৭:০৫(সন্ধ্যা)
শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০১৪
বুজলাম না
কোথায় কি হলো কিছুই বুজলাম
কতদিন পর দেখা হলো আজ
এমন একটা ভাব করলে যেন
আজই প্রথম দেখলে আমায়,
চিরচেনা হয়েও যেন আজ অচেনা।
শেষবার যখন দেখা হয়েছিল
মনে নেই কি করেছি
তারপর বহু দিন,ঘন্টা সেকেন্ড
পার করেছি তোমায় ভুলে,তোমার স্মরনে
ভুল কর্মে কাটিয়েছি জীবনের বহু বসন্ত
তারপর কোন এক বসন্তের দিনে
আবার দেখা হলো দুজনার।
তারপর কি হলো মনে নেই
শুধু মনে হলো
তুমি চির চেনা হলেও অচেনা।
=============শাহরিয়ার রাব্বী
=============০৭/০৩/২০১৩
=============১২:০৩(মধ্যরাত)
কষ্ট পেয়ো না
পালকী চড়ে যাচ্ছো তুমি
কষ্ট হচ্ছে তোমারও,
দূরে দাড়িয়ে দেখছি আমি,
চোখেতে জল আমারও।
কষ্টগুলো মনের আগুনে
ছাঁই বানিয়ে উড়াইও,
মনের আকাশে আর কখনো
আশার আলো না জ্বালিও।
ভালোবেসে আর কাউকে
বুকেতে না জড়াইও।
আমার কথা মনে হলে
বৃষ্টি হয়ে ঝরিও,
সেই জলটা গায়ে মেখে
অনল দহন থামাইও।
না পাবারই কষ্টগুলো
মনেতে না রাখিও,
ভালোবাসি আজো তোমায়
আর কখনো না বলিও।
========শাহরিয়ার রাব্বী
=========১৪ মার্চ ২০১৪
=========০৭:৫২(সন্ধ্যা)
বুধবার, ৫ মার্চ, ২০১৪
মৃত্যু ছাড়া
এই বিশ্ব অনেক বড়
এতে হারিয়ে যাওয়া অনেক সহজ।
তুমি সব সময়ই আমার ছিলে,
আমি এখনি সব কিছু মিটিয়ে দিতে প্রস্তুত নই
আমরা এখনো অনেক কিছুই করতে পারি,
আমারা আঁধার রাতে সূর্যের আলো ছড়াতে পারি
ধূসর মেঘকে নীল আকাশ করতে পারি।
আমি জানি এগুলো কঠিন!
তুমি শুধু আমাকে বিশ্বাস কর
আমি তোমাকে ছেড়ে কোথাও যাবনা,
মৃত্যু ছাড়া।
আমাকে বল,কিসের ভয় তোমার?
সমস্যাগুলোকে চাদের ওপাড়ে
গ্রহপুঞ্জের পিছে ফেলে দিব
যতদিন তুমি আমার পাশে থাকবে
সত্যি বলছি,ভালবাসার শক্তি দিয়ে
তোমাকে কোথাও যেতে দিবনা,
মৃত্যু ছাড়া।
এই বিশ্ব অনেক বড়
এতে হারিয়ে যাওয়া অনেক সহজ।
আমাদের এখনো অনেক কিছু করার বাকি,
আমি তোমাকে পুরো পৃথিবী দেখাবো
প্রতিটা সমুদ্রের ঝিনুক থেকে মুক্তো আনে দিব
অমবস্যর রাতে সূর্যের আলো ছড়াবো
ধূসর মেঘকে নীল আকাশ বানাবো।
আমি জানি এগুলো অসম্ভব
কিন্তু ভালবাসার শক্তিতে সব সম্ভব করব
কথা দিচ্ছি,আমি এগুলো করবই।
যদি তুমি ভালোবাসায় বিশ্বাস কর
যদি তুমি আমাকে বিশ্বাস কর
তবে তুমি কোথাও যেতে পারবেনা আমাকে ছেড়ে,
মৃত্যু ছাড়া।
============শাহরিয়ার রাব্বী
============০৫/০৩/২০১৪
============১১:৩০(সকাল)
বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
কথামালা-০১
সময় যত বাড়বে
সম্পর্ক তত গভীর হবে।
আর তখন ভালোবেসে ব্যর্থ হলে,
কষ্টটা ও বেশি হবে।
===========শাহরিয়ার রাব্বী
===========০০/০২/২০১৪
মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
অপেক্ষা
কথা ছিল পার্কের বেঞ্চটায় বসবে
শনিবার ঠিক বিকেল চারটায়।
বসেছিলাম পথ চেয়ে
হঠাৎ দেখি একঝাক পাখি উড়ে গেলো
কিছুক্ষণ পর শুনতে পেলাম
কিচিরমিচির আওয়াজ
তারপর সব নিস্তব্ধ
শুধু ঝি ঝি পোকার গান
হঠাৎ আকাশে আলো
দূরে মুয়াজ্জিনের আযান
আবার ঘুম-ভাঙ্গা পাখির সূর
মাথার উপর সূর্য
কিছুক্ষণ পর ঘড়ি দেখলাম
এখন বিকেল চারটা,তবে রবিবার
কোথায় তুমি প্রিয়া?
আর কতক্ষণ অপেক্ষা করবো?
============শাহরিয়ার রাব্বী
============২৫/০২/২০১৪
============০১:০১(রাত)
তোমায় পেয়ে
জীবনের সব বিপদে আপদে
তোমারে পেয়েছি পাশে,
প্রেম সাগরে ডুবেছি আমি
তোমারে ভাসিয়ে রেখে।
তোমারি মিলনে হারিয়ে ফেলেছি
কত যে দুঃখের ছবি।
তোমারে পরশে সাজিয়ে নিয়েছি
ঘর সংসার সবি।
তুমিই আমার প্রথম প্রহর,
শেষ বিকালের মেয়ে।
তবু ও তুমি পালিয়ে গেলে
আমার মনটা নিয়ে।
============শাহরিয়ার রাব্বী।
============২৩/০২/২০১৪
সিদ্ধান্ত
মনের আকাশে তোমায় নিয়ে
স্বপ্ন সাজাই জীবন নিয়ে
আজকে সবি তোমার উপর
যেথায় যা চাও,তা নিয়ে যাও,
তোমার জন্য সবি।
আজ এসেছে সময় আমার
সঠিক কথা জানার
থাকবে কি ধরে আমার এ হাত
আসুক যত বাঁধা আঘাত?
বিপদে যদি ছাড়ো মোরে
কি লাভ এগিয়ে ভালবাসাটারে?
শুরুতে হোক সত্য যাচাই
দুঃখ পেলে পাবো
ভালোবেসে বার্থ হলে,
হয়তো মরে যাব!
===============শাহরিয়ার রাব্বী
===============২২/০২/২০১৩
==============১১:৩১(রাত)
বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
২১ মানে
২১ মানে একেক জনের কাছে
এক এক রকম।
গণিতে ২১ হলো যৌগিক,
৩ আর ৭ এর গুনফল।
পর্যায় সারণিতে ২১,
স্কেন্ডিয়াম নামের মৌল।
শতাব্দীতে ২১ বিপ্লবী আর সফল।
জুলিয়ান বর্ষপঞ্জীতে ২১ হলো
বুধবার দিয়ে শুরু হওয়া বছর।
কিন্তু আমার কাছে ২১ মানে,
প্রথম মা ডাক,প্রথম শোনা শব্দ।
২১ মানে তোমার ঠোঁটে
প্রেম রঙের কাব্য।
২১ মানে সালাম রফিক
২১ মানে রক্ত।
২১মানে অ আ ক খ
২১ মানে গল্প।
২১ মানে আমার ভাষা
অন্তরে যাকে রাখবো।
============শাহরিয়ার রাব্বী
============২১/০২/২০১৪
=============১২:৩৬(প্রথম প্রহর)